গবেষণার কাজে প্রায় প্রতিদিনই ডারহামের আশেপাশের শহরগুলোতে যেতে হয়- সাথে থাকে ভারী যন্ত্রপাতি, কখনও কখনও নৌকাও! সুতরাং গাড়ি ছাড়া কোন উপায় নেই। ডিপার্টমেন্টের দুটি গাড়ি বলা যায় আমরাই (ল্যাবমেটরা) ব্যবহার করি সারা বছর! এছাড়া রয়েছে আরও তিনটি ব্যক্তিগত গাড়ি (সুপারভাইসরের, জার্মান ল্যাবমেটের এবং আমার) যেগুলোও আমরা সমানভাবে ব্যবহার করি ফিল্ডওয়ার্কে । বাংলাদেশী লাইসেন্স দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রথম বছর গাড়ি চালানো যায় কিন্তু এরপর বিরতিহীনভাবে চালাতে হলে ব্রিটিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজন হয়। আমার বাংলাদেশী লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষের দিকে হওয়ার কারনে ব্রিটিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিষয়টি খুবই জরুরী হয়ে পড়েছিল।
যুক্তরাজ্যের ড্রাইভিং এর জন্য সবপ্রথম ধাপ লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করা। অনলাইনে আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যেই ডাকযোগে চলে এলো সেটি। পরবর্তী ধাপ থিওরি টেস্ট, যেটি দুটি ধাপে বিভক্ত। প্রথম ধাপে ৫০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যেখানে প্রতি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ। পাশ মার্কস ৪৩! দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে ১৪টি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হবে যেগুলোতে ১টি করে হ্যাজার্ড থাকবে এবং একটি ভিডিওতে ২টি হ্যাজার্ড থাকবে এবং পরিক্ষার্থীর কাজ হবে যে মুহূর্তে হ্যাজার্ড শুরু হচ্ছে সেই সময় মাউসে ক্লিক করতে হবে। আপনি কত দ্রুত হ্যাজার্ড এর প্রতি রেসপন্স করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার মার্কিং হবে। প্রতিটি হ্যাজার্ডের জন্য বরাদ্দ সর্বোচ্চ ৫ নম্বর (সর্বমোট ৭৫)। পাশমার্ক ৪৪।
আমার থিওরি টেস্ট ছিল ৬ সেপ্টেম্বর। বেশ ভাল টেনশনে ছিলাম যুক্তরাজ্যে ড্রাইভিং থিওরি টেস্টে প্রতি দুইজনে একজন ফেল করে! মনে হয়ে গেল দেশের কথা- কতই না সহজ ড্রাইভিং লাইসেন্স করা! এমনকি লাইসেন্স না করলেই বা কি আসে যায়! যাহোক ভাগ্য খুবই প্রসন্ন! পাশ করে গেলাম- প্রথম পার্টে ৪৭ এবং দ্বিতীয় পার্টে ৬৭! টেস্ট শেষ হবার সাথে সাথেই রেজাল্ট এবং সার্টিফিকেট!
এরপর প্র্যাকটিক্যাল টেস্ট... যেখানে একজন লার্নার ড্রাইভারকে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট গাড়ি চালাতে হবে একজন পরিদর্শকের উপস্থিতিতে। এই টেস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি কি করতে হবে, কোন রাস্তায় যেতে হবে তা পরিদর্শকই বলে দেবে। তিনি আপনার পারফর্মেন্সের উপর ভিত্তি করে মার্কিং করবেন। একটি সিরিয়াস বা বিপদজনক মুভ মানেই আপনি ফেল। আপনি যেকোন গাড়িতে টেস্ট দিতে পারবেন না, এজন্য প্রয়োজন হবে ডুয়েল কন্ট্রোলড গাড়ি- যাতে পরিদর্শক ইচ্ছে করলেই ব্রেক করে গাড়ি থামিয়ে দিতে পারে যেকোন সময়। বিন্দুমাত্র কোন প্রকার ছাড় নেই এবং সেকারনেই যুক্তরাজ্যে ড্রাইভিং পাশের হার দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কমগুলোর একটি! ইউটিউব খুজলেই দেখা যাবে ৫-১০ বার পরীক্ষা দিয়েও পাশ করেনি এমন ফেল করা মানুষজনের ভিডিও। আবারও মনে পড়ল দেশের কথা- যেখানে টাকা না দিলে লাইসেন্স পাওয়াই প্রায় অসম্ভব। টাকা দিলে পরীক্ষা না দিয়েও লাইসেন্স পাওয়া যায়! হয়ত একারনেও আমাদের দেশে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। মনে আছে আমার এক বড় ভাই সবুকছু ভাল দেবার পরও তাকে ফেল করিয়ে দেয়া হয়েছিল শুরুমাত্র তিনি টাকা দিয়েছিলেন না বলে!
যাহোক, আমি আমার প্র্যাকটিক্যাল টেস্ট বুক করলাম ৩ অক্টোবর। উল্লেখ্য যে টেস্টের জন্য দীর্ঘ লাইন থাকে সুতরাং আপনি এখন বুক করতে চাইলে প্রায় ১ মাস পরে ফাঁকা ডেট পেতে পারেন। ড্রাইভিং পরিদর্শক ছিল একজন বয়স্ক মানুষ- আমার কাছে ‘অতি শ্রদ্ধেয়’ টাইপের চেহারার! তিনি আমাকে যেতে বললেন পাশের একটি শহরের রাস্তায় এবং সে রাস্তায় একপর্যায়ে খুবই বড় একটি রাউন্ডএবাউট (গোলচত্তর?) যাতে পাশাপাশি ৪/৫ টি লেন বামে, ডানে বা সোজা যাবার জন্য। খুবই কনফিউজিং! আমার এক পর্যায়ে মনে হল আমি ভুল লেনে ঢুকে পড়েছি- যার মানে আমি ফেল! কিন্তু ভাগ্য ভাল সেটি ছিল সঠিক লেন! কেন জানি পরীক্ষাটি একটু বেশিই ভাল হয়ে গেল এবং ফলাফলস্বরূপ পাশ!
যুক্তরাজ্যের ড্রাইভিং এর জন্য সবপ্রথম ধাপ লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করা। অনলাইনে আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যেই ডাকযোগে চলে এলো সেটি। পরবর্তী ধাপ থিওরি টেস্ট, যেটি দুটি ধাপে বিভক্ত। প্রথম ধাপে ৫০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যেখানে প্রতি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ। পাশ মার্কস ৪৩! দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে ১৪টি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হবে যেগুলোতে ১টি করে হ্যাজার্ড থাকবে এবং একটি ভিডিওতে ২টি হ্যাজার্ড থাকবে এবং পরিক্ষার্থীর কাজ হবে যে মুহূর্তে হ্যাজার্ড শুরু হচ্ছে সেই সময় মাউসে ক্লিক করতে হবে। আপনি কত দ্রুত হ্যাজার্ড এর প্রতি রেসপন্স করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার মার্কিং হবে। প্রতিটি হ্যাজার্ডের জন্য বরাদ্দ সর্বোচ্চ ৫ নম্বর (সর্বমোট ৭৫)। পাশমার্ক ৪৪।
আমার থিওরি টেস্ট ছিল ৬ সেপ্টেম্বর। বেশ ভাল টেনশনে ছিলাম যুক্তরাজ্যে ড্রাইভিং থিওরি টেস্টে প্রতি দুইজনে একজন ফেল করে! মনে হয়ে গেল দেশের কথা- কতই না সহজ ড্রাইভিং লাইসেন্স করা! এমনকি লাইসেন্স না করলেই বা কি আসে যায়! যাহোক ভাগ্য খুবই প্রসন্ন! পাশ করে গেলাম- প্রথম পার্টে ৪৭ এবং দ্বিতীয় পার্টে ৬৭! টেস্ট শেষ হবার সাথে সাথেই রেজাল্ট এবং সার্টিফিকেট!
এরপর প্র্যাকটিক্যাল টেস্ট... যেখানে একজন লার্নার ড্রাইভারকে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট গাড়ি চালাতে হবে একজন পরিদর্শকের উপস্থিতিতে। এই টেস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি কি করতে হবে, কোন রাস্তায় যেতে হবে তা পরিদর্শকই বলে দেবে। তিনি আপনার পারফর্মেন্সের উপর ভিত্তি করে মার্কিং করবেন। একটি সিরিয়াস বা বিপদজনক মুভ মানেই আপনি ফেল। আপনি যেকোন গাড়িতে টেস্ট দিতে পারবেন না, এজন্য প্রয়োজন হবে ডুয়েল কন্ট্রোলড গাড়ি- যাতে পরিদর্শক ইচ্ছে করলেই ব্রেক করে গাড়ি থামিয়ে দিতে পারে যেকোন সময়। বিন্দুমাত্র কোন প্রকার ছাড় নেই এবং সেকারনেই যুক্তরাজ্যে ড্রাইভিং পাশের হার দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কমগুলোর একটি! ইউটিউব খুজলেই দেখা যাবে ৫-১০ বার পরীক্ষা দিয়েও পাশ করেনি এমন ফেল করা মানুষজনের ভিডিও। আবারও মনে পড়ল দেশের কথা- যেখানে টাকা না দিলে লাইসেন্স পাওয়াই প্রায় অসম্ভব। টাকা দিলে পরীক্ষা না দিয়েও লাইসেন্স পাওয়া যায়! হয়ত একারনেও আমাদের দেশে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। মনে আছে আমার এক বড় ভাই সবুকছু ভাল দেবার পরও তাকে ফেল করিয়ে দেয়া হয়েছিল শুরুমাত্র তিনি টাকা দিয়েছিলেন না বলে!
যাহোক, আমি আমার প্র্যাকটিক্যাল টেস্ট বুক করলাম ৩ অক্টোবর। উল্লেখ্য যে টেস্টের জন্য দীর্ঘ লাইন থাকে সুতরাং আপনি এখন বুক করতে চাইলে প্রায় ১ মাস পরে ফাঁকা ডেট পেতে পারেন। ড্রাইভিং পরিদর্শক ছিল একজন বয়স্ক মানুষ- আমার কাছে ‘অতি শ্রদ্ধেয়’ টাইপের চেহারার! তিনি আমাকে যেতে বললেন পাশের একটি শহরের রাস্তায় এবং সে রাস্তায় একপর্যায়ে খুবই বড় একটি রাউন্ডএবাউট (গোলচত্তর?) যাতে পাশাপাশি ৪/৫ টি লেন বামে, ডানে বা সোজা যাবার জন্য। খুবই কনফিউজিং! আমার এক পর্যায়ে মনে হল আমি ভুল লেনে ঢুকে পড়েছি- যার মানে আমি ফেল! কিন্তু ভাগ্য ভাল সেটি ছিল সঠিক লেন! কেন জানি পরীক্ষাটি একটু বেশিই ভাল হয়ে গেল এবং ফলাফলস্বরূপ পাশ!
No comments:
Post a Comment