বিদেশে উচ্চশিক্ষা: পর্ব ১

বিগত কিছুদিনে বিভিন্ন ব্লগ এবং ফেসবুকে বিদেশে স্কলারশীপ বিষয়ক পরামর্শ, তর্ক-বিতর্ক ইত্যাদি ইত্যাদি দেখে এই ব্লগটি লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারন এসব ফেসবুক পোষ্ট বা ব্লগ পড়ে অনেকেই, বিশেষ করে যারা এই লাইনে নতুন, বিভ্রান্ত হতে পারেন- এই লেখাগুলো খুবই অসম্পূর্ণ এবং পক্ষপাতিত্ত্বমূলক। আশা করি এখান থেকে পাঠকরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ে একটি স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ ধারনা লাভ করবে। এই লেখাটি মূলতঃ চলমান এবং প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে লেখা এবং উচ্চশিক্ষা বলতে এখানে মাস্টার্স এবং পিএইচডি বোঝান হয়েছে... আর একটি বিশেষ দ্রষ্টব্য এই যে এই লেখার প্রতিটি সেকশনেই তুলে ধরা বক্তব্যের কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে যা লেখাটির সরলীকরন এবং সংক্ষিপ্তকরনের সুবিধার্থে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হতে বিরত থাকা হয়েছে। সংক্ষিপ্তকরনের পরও এই লেখাটিকে দুটি ভাগে ভাগ করতে বাধ্য হলাম। এটি প্রথম পর্ব যাতে থাকছে বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু বেসিক ধারণা। শেষপর্বে থাকবে আবেদন প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট তথ্যসমূহ।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা কি আমার জন্য?
শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনার জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষা আসলেই একটি সঠিক একটি সিদ্ধান্ত হবে কিনা? বিষয়টি নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর যার মধ্যে অবশ্যই সবচেয়ে বড় বিষয়টি হল আপনার জীবনের ভবিষ্যত পরিকল্পনা। কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা দেশের বাইরে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা করেন তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই প্রযোজ্য। আরেক বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন যে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের আপনার রেজাল্ট কেমন- যদি আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউণ্ড ‘খুব ভাল’ বা অন্তত ‘ভাল’ না হয় তাহলে আপনার জন্য বিকল্প চিন্তা করাই উত্তম। অবশ্যই খুঁজলে কিছু ব্যক্তি পাওয়া যাবে যারা মধ্যম বা নীচের দিকের রেজাল্ট নিয়েও বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আছেন বা ছিলেন কিন্তু সেটি যে সবার ক্ষেত্রেই হবে বিষয়টি তো সেরকম নয়! তবে যাদের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউণ্ড তেমন সুখকর নয় কিন্তু বিদেশে উচ্চশিক্ষা পেতে চান তারা নিজ খরচে মাস্টার্স করতে বাইরে যেতে পারেন, সেখান থেকে পরবর্তীতে স্কলারশীপসহ পিএইচডি পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়। আমি এরকম অনেককেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি যারা নিজ খরচে বিদেশে মাস্টার্স করে পরে স্কলারশীপসহ পিএইচডি করে খুব ভাল পজিশনে আছেন বর্তমানে।
মাস্টার্স না পিএইচডি?
আমাদের দেশে অনেকের মধ্যেই একটি ভুল ধারনা আছে যে বিদেশে মাস্টার্স না করলে বা না থাকলে সরাসরি পিএইচডি স্কালারশীপ পাওয়া যায় না। এটি ঠিক যে বাইরের একটি মাস্টার্স ডিগ্রী থাকলে পিএইচডি পাওয়া এবং সম্পন্ন করা তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে যায় কারন আমাদের দেশে আমরা যে ধারায় লেখাপড়া করে অভ্যস্ত তা উন্নত দেশগুলোর লেখাপড়ার তুলনায় প্রায় পুরোটাই ‘কোন কিছু না করেই পাশ করা’ টাইপের। সুতরাং উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে এসে প্রথমেই দেশের পড়াশুনার সাথে আকাশ-পাতাল টাইপের তফাতটিই প্রায় সকলেরই সমস্যার প্রধান কারন হয়ে দাঁড়ায় এবং এ কারনেই প্রায় সকলেই প্রথমে মাস্টার্স করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন যাতে করে এই সময়ে বিদেশের পড়াশুনার সাথে কিছুটা ‘খাপ-খাইয়ে’ নেয়া যায়। তবে আপনার যদি গবেষণা অভিজ্ঞতা ভাল থাকে এবং নিজের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস থাকে তাহলে আপনি সরাসরি পিএইচডি-এর জন্য চেষ্টা করতে পারেন। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের বইপত্র বা জার্নাল আর্টিক্যাল-এর পরিবর্তে ‘চোথা বা নোট’ পড়ার প্রবণতাই এই সমস্যার মূল কারন। এবং এর জন্য আমাদের শিক্ষকদের একাংশ অনেকাংশে দায়ী কারন তারা ছাত্রছাত্রীদের কখন প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে উৎসাহিত করেন না এবং আমাদের ছাত্রছাত্রীরা ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পড়াশুনার অন্তর্নিহিত অর্থই না বুঝে তথাকথিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী লাভ করে। উন্নত দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষা মানেই বইপত্র, আর্টিক্যাল এবং হাতেকলমে শিক্ষা... কোনভাবেই চোথা বা নোটপত্র নয়! এসব দেশে পরীক্ষায় প্রশ্ন ‘কমন’ পাওয়া যায় না! এবং নোটপত্র পড়ে কখনও প্রকৃত এবং সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করা যায় না... তবে হ্যাঁ আমাদের দেশে অত্যন্ত ভালো স্কোর নিশ্চিত করা যায় অবশ্যই। যাইহোক যাদের দেশে মাস্টার্স সম্পন্ন হয়নি এখনও তারা মূলতঃ বিদেশে মাস্টার্স এর জন্য চেষ্টা করতে পারেন।
কোন দেশে?
অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়! আমরা এমন একটি দেশে বসবাস করি যেখানে আপনাকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তিকরে শ্রেণীবিন্যাস্ত করা হবে! একটি সরল উদহরণ নিম্নরূপ:
ধাপ ১| কোথাকার ডিগ্রী? দেশের না বিদেশের?
ধাপ ২| যদি বিদেশের হয়, ইউরোপ/আমেরিকান/অস্ট্রলিয়ান কান্ট্রি নাকি এশিয়ান কান্ট্রি?
ধাপ ৩| ইংলিশ স্পিকিং কান্ট্রি না নন-ইংলিশ স্পিকিং কান্ট্রি?
ধাপ ৪| যে ইউনিভাসির্টিতে ডিগ্রী করেছেন তার র‍্যাংকিং কত?
সুতরাং বুঝতেই পারছেন স্কলারশীপ পাওয়াটাতেই যুদ্ধ শেষ নয়! তবে সবারই মনে রাখা প্রয়োজন যে কাউকেই ছোট করা ঠিক নয়। দেশে পিএইচডি করেছেন এমন অনেককেই আমি দেখেছি যারা একাডেমিশিয়ান হিসেবে অসাধারণ আবার অনেক বিদেশের ডিগ্রীধারীদের দেখেছি যারা কিভাবে বিদেশে ডিগ্রী করে এসেছে সেটি আমার কাছে একটি রহস্য! যাহোক কোন দেশ টার্গেট করবেন সেটি একান্তই নিজের বিষয়। তবে কিছু বিষয় না বললেই নয় যাতে করে পছন্দের দেশগুলি বাছাইয়ে কিছুটা সুবিধা হয়।
১| ইংরেজি ভাষার দক্ষতা:  যারা ইংলিশ-স্পিকিং কান্ট্রিগুলি (কিছু ব্যতিক্রমও বর্তমান) টার্গেট করবেন তাদের জন্য অবশ্যই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহুল প্রচলিত আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.৫ (আলাদা আলাদা ব্যাণ্ডে সর্বনিম্ন ৬.০) হতে হবে। তবে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কোর ৭.০ থাকতে হবে। আরেকটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন যে ইংরেজির স্কোর বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতার মাপকাটি, স্কলারশীপের নয়! আমার জানা অনেকেই আছেন যারা ইংরেজীর কাঙ্খিত স্কোর না থাকা বা একদমই না থাকা সত্ত্বেও ইংলিশ-স্পিকিং কান্ট্রিতে স্কলারশীপ পেয়েছেন! তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস এর পরিবর্তে টোফেল এবং জিআরই করাই উত্তম, যদিও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস গ্রহণ করছে ।
২| পরিশ্রম: আপনি যদি আমার মত ফাঁকিবাজ হন তাহলে অবশ্যই পশ্চিমা দেশগুলো টার্গেট করবেন। কারন এশিয়ান দেশগুলোতে আপনাকে ল্যাবে দিনরাত প্রায় সারাক্ষণই পরে থাকতে হবে। সে তুলনায় ইউরোপ-আমেরিকা তো একদমই স্বর্গ!
৩| ডিগ্রীর সময়সীমা: বিভিন্ন দেশে ডিগ্রী সম্পন্ন করার সময়সীমার পার্থক্য আছে। উদহরণ স্বরূপ কোন দেশে পিএইচডি চার বছর আবার কোনও দেশে তিন বছর। তবে আপনার বিষয় কি তার উপর ভিত্তি করেও এই সময়সীমার ভিন্নতা হতে পারে। সুতরাং এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে অনেকের কাছে।
৪| পারিপার্শিকতা এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ: যেসব দেশের ভাষা ইংরেজী নয় বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে জীবনযাপন করতে একটু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন বাজারঘাটে যেয়ে সাধারণ মানুষজনের সাথে কথাবার্তা চালান একটু কঠিন কারণ তারা ইংরেজী প্রায় বুঝেই না। বেশীরভাগ ইংলিশ কাণ্ট্রিগুলোর আর একটি সুবিধা হল একটি নির্দিষ্ট সময় সেখানে থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করা যায় যা তুলনামূলকভাবে এশিয়ান দেশগুলোতে কঠিন।
৫| আবেদনের বয়স: অনেক স্কলারশীপেই বয়সের বাধা থাকে যার সুবিধা অসুবিধা দুটিই আছে। বয়সের বাধা থাকলে যেমন প্রার্থীর সংখ্যা অনেকাংশে কমে যায় তেমনি বিপরীতভাবে বাধা না থাকলে প্রতিযোগীতা অনেকে বেড়ে যায়।
বেশীরভাগ বাংলাদেশীরা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানী, ইটালী, সুইডেন, বেলজিয়াম, নেদারল্যাণ্ড, নিউজিল্যাণ্ড, জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যাণ্ড ও ভারত পছন্দ করে থাকেন।
কোন স্কলারশীপ?
প্রথমে সবার অবশ্যই চেষ্টা করা উচিত সরকারী বা বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্কলারশীপের জন্য, কোন প্রফেসরের নিজস্ব প্রজেক্ট-ভিত্তিক স্কলারশীপ নয়। কারন সরকারী স্কলারশীপের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশী থাকে এবং যা নিয়মিতভাবে ঝামেলা ছাড়াই পাওয়া যায়। অনেক সময় প্রফেসরের প্রজেক্ট-ভিত্তিক পজিশনে টাকাপয়সা আটকে যাবার সম্ভবনা থাকে। তবে সরকারী বা বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্কলারশীপগুলো পাওয়া নিঃসন্দেহে অনেক কঠিন যার জন্য আপনাকে কঠিন প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কিছু স্বনামধন্য স্কলারশীপের তালিকা নিম্নরূপ (তালিকাটি অবশ্যই সম্পূর্ণ নয় এবং তালিকার ক্রমও কোন মাপকাঠি অনুযায়ী নয়)-
যুক্তরাজ্য: যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ স্কলারশীপ সারা বিশ্বেই খুবই সম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয় যা যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ স্কলারশীপ কমিশন এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি মূলতঃ যুক্তরাজ্য সরকার এবং ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) প্রদত্ত স্কলারশীপ। এছাড়াও রয়েছে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব স্কলারশীপ।
যুক্তরাষ্ট্র: ফুলব্রাইটও আরেকটি খুবই সম্মানজনক একটি স্কলারশীপ যেটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি বৃত্তি যেটি ১৯৪৬ সালে আমেরিকান সিনেটর জে. উইলিয়াম ফুলব্রাইট কর্তৃক চালু হয়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্কলারশীপ।
জার্মানী: ড্যাড (বা ডাড) স্কলারশীপ জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস কর্তৃক প্রদেয় একটি স্বনামধন্য স্কলারশীপ। এছাড়াও অন্যান্য উন্নত দেশের মত জার্মানীতেও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব স্কলারশীপ।
অস্ট্রেলিয়া: আইপিআরএস (ইন্টারন্যাশনাল পোষ্টগ্রাজুয়েট রিসার্স স্কলারশীপস) অস্ট্রেলিয়া সরকারের খুবই ভাল একটি স্কলারশীপ প্রোগ্রাম বাংলাদেশীদের জন্য। অস্ট্রেলিয়ায় আরও দুটি নামকরা স্কলারশীপ হল এনডেভর স্কলারশীপ ও অস্ট্রেলিয়া এ্যাওয়ার্ড স্কলারশীপ। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব স্কলারশীপ তো রয়েছেই।
নিউজিল্যাণ্ড: নিউজিল্যাণ্ড কমনওয়েলথ স্কলারশীপ বাংলাদেশীদের জন্য বেশ লোভনীয় একটি স্কলারশীপ। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব স্কলারশীপ রয়েছে।
জাপান: মনবসু স্কলারশীপ বাংলাদেশীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এবং বহুল প্রাপ্ত একটি স্কলারশীপ। নিঃসন্দেহে আমাদের দেশে এই স্কলারশীপধারীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। এটি জাপান সরকারের এডুকেশন, কালচার, স্পোর্টস, সায়েন্স এবং টেকনোলজি মন্ত্রণালয় (এমইএক্সটি) হতে দেয়া হয়ে থাকে ১৯৫৪ সাল হতে। মনবসু ছাড়াও জাপানের জাপান সোসাইটি ফর দি প্রেমাশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস) স্কলারশীপ খুবই ভাল একটি স্কলারশীপ।
চীন: বিগত বছরগুলিতে চীনে বাংলাদেশীদের উচ্চশিক্ষার হার বেড়েছে। চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্স এবং ওয়ার্ল্ড একাডেমী অব সায়েন্সের স্কলারশীপ চীনের সবচেয়ে ভাল স্কলারশীপ। এছাড়াও রয়েছে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব স্কলারশীপ।
দক্ষিণ কোরিয়া: চীনের ন্যায় দক্ষিন কোরিয়াতেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের হার বেড়েছে। কোরিয়া সরকারের স্কলারশীপে অনেক বাংলাদেশীই উচ্চশিক্ষা লাভ করছেন।
তুরস্ক: তুরস্কে বাংলাদেশীদের জন্য তুরস্ক সরকারের স্কলারশীপ প্রোগ্রামটি সবচেয়ে ভাল।
ইউরোপ: ইরাসমাস মুণ্ডাস এবং ভিএলআইআর স্কলারশীপ দুটিতে বিগত বছরগুলিতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশী ইউরোপে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন এবং বর্তমানে করছেন। এই স্কলারশীপ দুটির মজার বিষয় হলো বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেমিস্টার সম্পন্ন করার সুযোগ পাওয়া যায়।
নিজ খরচে বিদেশে উচ্চশিক্ষা?
অবশ্যই চেষ্টা করতে হতে কোন ইংলিশ-স্পিকিং দেশে বা ইউরোপের কোন দেশে। তবে এসব দেশের যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই যে ভাল ব্যাপারটি মোটেও সেরকম নয়। নিজ খরচে ডিগ্রী করার ক্ষেত্রে বাঙালীদের পছন্দের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানী, সুইডেন, নরওয়ে দেশগুলো প্রথমদিকে রয়েছে।   

4 comments:

  1. অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার।

    ReplyDelete
    Replies
    1. খুশি হলাম! দেখলাম বিভাগের কিছু ছাত্রছাত্রী একটি স্কলারশীপের পোষ্ট শেয়ার করেছে খুবই কমা... ঐখানে প্রফেসরকে কিভাষায় ইমেইল দিতে হবে তার একটি নমুনাও দেয়া আছে। দুঃখের ব্যাপার হল ঐ ইমেইল পড়ে ভাল কোন প্রফেসর জীবনেও রিপ্লাই দিবে না... তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে স্কলারশীপ নিয়ে তুমুল তর্কযুদ্ধও দেখলাম বেশ কটি... তাই মাথায় আইডিয়াটি আসলো... :)

      Delete
  2. Great initiative Sir! Strongly appreciate your effort. Expressly informative post that you shared for us. The site will be more authentic, informative and conducive than any other relevant sites. We eagerly Waiting for the next post!! Carry on Sir. Wish you all the best.

    ReplyDelete