বিলেতের দিনকাল: জাতীয় নির্বাচন

প্রথমেই যে মন্তব্যটি মাথায় এল সেটি হল ‘এটি একটি নির্বাচন হল’! প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-এর সৌজন্যে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচন দেখার সুযোগ হল এখানে আসার অল্প দিনের মাথায়- যার প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য!
কোন রকম মিটিং মিছিল নেই, নেই কোন মাইকিং বা আকাশ-বাতাস জুড়ে পোস্টারিং! বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাড়িতে ফিরে দেখলাম দুটি পোষ্ট কার্ড টাইপের কাগজে দুটি প্রধান দলের প্রার্থীদের ভোট দেবার জন্য আহবান জানান হয়েছে! দেশের সরকার গঠনের নির্বাচন, চারপাশে কোন আলোচনা-সমালোচনা কিছুই নেই! কাউকেও দেখলাম না যে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছে! মনেই হচ্ছিল না যে আর দু’দিন পর এখানে জাতীয় নির্বাচন! আমাদের দেশের ভোটের সাথে পার্থক্য খুবই সুস্পষ্ট! বার বার কেন যেন মনে হচ্ছে এটি কোন নির্বাচন! কোথাও কোথাও তো ভোটকেন্দ্র হল বাড়ির গ্যারাজ এবং কোন রকম পুলিশ বা সেনাবাহিনী পাহারা ছাড়াই!

মিস করলাম চায়ের দোকানে/অফিস আদালতে সরগরম আলোচনা বা তর্ক-বিতর্ক, কর্মজীবী (সাথে অকর্মজীবী!) মানুষগুলোর দিনরাত নিজ নিজ দলের প্রার্থীদের পক্ষে ভোটের জন্য প্রচারণা, বিরতীহীন কান ঝালাপালা করে জীবন অতিষ্ট করা মাইকিং, নির্বাচন কেন্দ্রে মারামারি, খুনোখুনি, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা আরও কত কি...

তারপর আবার নির্বাচনে হারার পরও হারু পার্টি বলছে না যে নির্বাচনে স্থুল বা সুক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে! হারার পরও বিরোধী দল হিসেবে পার্লামেন্টে নিয়মিত অধিবেসনে বসছে!

ছ্যাঁ ছ্যাঁ ছ্যাঁ... এটি কোন নির্বাচন!
কবে যে এরা আমাদের কাছে থেকে শিখবে...

No comments:

Post a Comment