বাংলাবিড়াল ও আমার ধৈর্য্য পরীক্ষা!


বেশ কিছুদিন যাবতই ভাবছি বিষয়টি নিয়ে একটু লেখা প্রয়োজন। কিন্তু লিখি লিখি করেও আর লেখা হয়ে উঠছে না। অবশেষে এখন লিখেই ফেললাম! বাংলাদেশে যখন প্রথমদিকে বাংলালায়নের আবির্ভাব হলো সেসময়ই আমারা বাসায় সেটির আনলিমিটেড প্যাকেজ নিলাম। আমরা বলা ঠিক হচ্ছে না, আমার ছোট ভাই প্যাকেজটি নেয় এবং সেসময় থেকেই সে প্রতিমাসেই তার খরচ যোগায় নিজের হাতখরচ থেকে। বর্তমানে প্রতিমাসে ১৪০০ টাকা করে দিতে হয় প্যাকেজটির জন্য যা একেবারে কম নয়।

শুরুতে বাংলালায়নের সার্ভিস বেশ ভালো ছিলো, অস্বীকার করবো না। কিন্তু বর্তমানে এর অবস্থা যেন যাচ্ছেতাই। গত ৩/৪ মাসে লক্ষ্য করলাম প্রতিমাসেই প্রায় ২-৩ দিন টানা নেটওয়ার্ক থাকে না! একইসাথে শুরু হয়েছে আরেকটি বিড়ম্বনা, কানেক্ট না হওয়া। রাত ১০ টা থেকে ১২:৩০ এর মধ্যে যদি মডেম লাগিয়ে অনলাইন হতে চাওয়া যায় তাহলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় কমপক্ষে ৩০ মিনিট হতে ১ ঘন্টা লাগবে কানেক্ট হতে! এখনই আমি গত ১ ঘন্টা ২৮ মিনিট ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি অনলাইনে কানেক্ট হবার জন্য কিন্তু সফলতার মুখ দেখতে পাইনি। অবশ্য একটি দিক হতে বাঁচা, কারণ এখানে একবার না পারিলে দেখ শতবার কথাটি প্রযোজ্য নয়। কারণ মডেমের সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিজে নিজেই চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং বার বারই ফেইলিওর কথাটি প্রদর্শণ করে যাচ্ছে। আমাকে ম্যানুয়ালি চেষ্টা করে যেতে হচ্ছে না- শুধুমাত্র মনিটর স্ক্রীনের দিকে চোখ রাখলেই কাজ চলে যাচ্ছে!


বিগত অনেকদিন যাবত আর একটি নতুন ঝামেলা সংযোজিত হয়েছে- ফেয়ার ইউজ পলিসি। প্রথমদিকে একটি ছিলো সমস্ত মাসের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু বর্তমানে সাপ্তাহিক ব্যবহারের উপরই প্রয়োগ করা হচ্ছে এই পলিসি। প্যাকেজের গতিও যে খুব বেশী তা নয়, দিনের অনেকটা সময়ই সেটি গ্রামীণ ফোনের ৩০০ টাকার ১ গিগাবাইটের প্যাকেজের গতির সাথে প্রতিযোগিতায় সমকক্ষ হবার গৌরব অর্জন করে।

সিংহের ঘুম কখন ভাঙ্গবে বুঝতে পারছি না, কারণ এখনও কানেক্ট হবার কোন লক্ষণই দেখতে পাচ্ছি না। সিংহ না হয়ে বিড়াল হলে খুব একটা খারাপ হতো না মনে হয়... বাংলাবিড়াল...

(ব্লগটি গতরাতে লেখা, যথারীতি রাত ১০:০৩ থেকে চেষ্টা করেও ১২:৪৫ পর্যন্ত অনলাইনে কানেক্ট হতে পারি নি, অবশেষে ধৈর্য্যের পরীক্ষায় লাড্ডু নিয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলাম)

No comments:

Post a Comment