বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যাবে এ নিয়ে প্রচুর লেখালেখি থাকলেও এখানে যে বিষয়টি নিয়ে আজ লিখছি সেটি হয়ত কিছুটা অতিরিক্ত, কিন্তু অত্যাবশ্যকীয় বিষয়াবলী এবং এগুলো কারো আয়ত্তে থাকলে ভিনদেশে তার উচ্চশিক্ষা এবং জীবনযাপন অনেকটাই ডালভাত হয়ে যাবে এবং রীতিমত উপভোগ করতে পারবে। এটি অবশ্যই সঠিক যে উন্নত বিশ্বে উচ্চশিক্ষা (মাস্টার্স এবং পিএইচডি, তবে বিশেষ করে পিএইচডি) সম্পন্ন করা দেশের থেকে অনেক চ্যালেঞ্জিং এবং ‘সম্ভবত’ খুব কঠিন। আমি ‘সম্ভবত’ শব্দটি ব্যবহার করেছি কারণ এই কঠিনতার বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার নিজস্ব গুণাবলী এবং দক্ষতার উপর। আমি বাংলাদেশে প্রায় সকলের মুখেই শুনেছি যে (যারা দেশের বাইরে ডিগ্রী নিয়েছেন) যে বাইরে ডিগ্রী করা খুব কঠিন। আমার নিজস্ব কিছু পর্যবেক্ষণ আছে এবং আমার মনে হয় এসকল বিষয় আয়ত্তে থাকলে কারো জন্যই বাইরে ডিগ্রী করাটা তেমন কঠিন কিছু না, অন্তত আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতায় তা মনে হয় নি।
যাহোক কথা না বাড়িয়ে আসল বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি,
১. জার্নাল আর্টিক্যাল: আমার মতে আমাদের দেশের পড়াশুনার বড় সমস্যা হল আমরা ছাত্রাবস্থায় বই কিছুটা পড়লেও জার্নাল আর্টিক্যাল (পেপার) পড়ি না আর যদিও বা পড়ি তাহলে দেশি জার্নালের পেপার। বাইরের পড়াশুনা প্রায় সম্পূর্ণটাই পেপারের উপর নির্ভরশীল। তাই বেশী বেশী করে ভাল জার্নালগুলোর পেপার পড়ার অভ্যাস করে তুলে হবে।
২. রান্নাবান্না: বিদেশে এসে অনেকেরই বড় সমস্যা হয় নিজে রান্নাবান্না করে খাবার বিষয়টি। সুতরাং দেশে থাকতেই এই বিষয়টি অভ্যাস করে বিদেশে এলে খাবার-দাবাড়ের সমস্যাটি অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
৩. ড্রাইভিং: দেশে থাকতেই ড্রাইভিং ভাল মত শেখা উচিত এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে রাখা উচিত। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে বিদেশে আপনার জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যায়। যেমন, আমার গবেষণার জন্য গ্রীষ্মের সময় প্রতিদিনই আমাকে ড্রাইভ করে ফিল্ডে যেতে হত এবং আমার ফিল্ড সাইটগুলো বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১-২ ঘণ্টার ড্রাইভিং দূরত্বে। এছাড়া অবসরে কোথায় ইচ্ছেমত ঘুরতে যাবার বিষয়টি তো আছেই। তাছাড়া উন্নত বিশ্বে ড্রাইভিং ইনস্যুরেন্স খরচ অনেক বেশী এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স যত পুরনো হয় এই খরচ তত কমে আসে। সম্ভব হলে ম্যানুয়াল গাড়িতে ড্রাইভিং শিখুন।
৪. পরিসংখ্যান বা ডাটা এনালাইসিস: নিজে পরিসংখ্যান শিখুন এবং সে সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করুন। গবেষণা পদ্ধতি (Research Methodology) ভাল মত জানুন। সেই সাথে আপনার ফিল্ডের প্রচলিত সকল পরিসংখ্যানিক টেস্টসমূহ সম্পর্কে ভাল ধারণা তৈরি করুন। কোন টেস্ট কোন ডাটার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এবং কোন সফটওয়্যারে সেটি কিভাবে করতে হয় সেটি জানুন। শুধু জানলে হবে না, দক্ষ হতে হবে এ বিষয়ে। আপনি যে পেপারগুলো পড়বেন সেখানের গবেষণা পদ্ধতি ভালমতো পড়ুন এবং বুঝুন।
৫. লেখালেখির ও পাওয়ারপয়েন্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা: আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের অনেকের ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কম্পিউটার থাকলেও বেশীরভাগ সময়ে তারা সেগুলো বিনোদনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে। সেটি সমস্যা নয় যদি তার সাথে এমএস ওয়ার্ড বা লেটেক্স এবং এমএস পাওয়ারপয়েন্ট শিখে রাখুন। কি কাজে দিবে সেটি আপনি উচ্চশিক্ষায় আসলেই বুঝতে পারবেন। তবে শুধু দেশের বাইরেই নয়, দেশের চাকুরীতে এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
৬. জোরে হাঁটুন! জী হা, জোরে হাটার অভ্যাস করুন। আমার দেখা একমাত্র বাঙালিরাই উন্নত বিশ্বের মানুষজনের তুলনায় প্রায় ৩-গুণ ধীরে হাটে এবং এসব দেশে ভিড়ের মধ্যে এদের দেখলেই বোঝা যায় যে এরা আমাদের দেশের। অন্তত সুপারভাইজারের সাথে তাল মিলিয়ে হাটতে তো হবে! এছাড়া দ্রুত হাটা স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভাল!
৭. যেখানে সেখানে নোংরা ফেলা: বাঙালির এই বদভ্যাস পরিত্যাগ করুন। সভ্য মানুষেরা কখনও পরিবেশ নোংরা করে না, বরং কোথাও প্লাস্টিক বা অন্য কিছু পেলে তুলে নিয়ে সেটি নির্ধারিত স্থানে ফেলে।
মদ্দা কথা একজন ব্যক্তিকে উন্নত বিশ্বের উচ্চশিক্ষা উপভোগ করতে হলে তাকে যথাসম্ভব স্বনির্ভর হতে হবে। নিজের কাজ নিজে করতে হবে, একটু গোছানো জীবনযাপন করতে হবে, মিনমিন করে কথা বলার অভ্যাস ঝেড়ে ফেলতে হবে এবং ফাঁকিবাজির অভ্যাসটি পরিত্যাগ করতে হবে!
যাহোক কথা না বাড়িয়ে আসল বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি,
১. জার্নাল আর্টিক্যাল: আমার মতে আমাদের দেশের পড়াশুনার বড় সমস্যা হল আমরা ছাত্রাবস্থায় বই কিছুটা পড়লেও জার্নাল আর্টিক্যাল (পেপার) পড়ি না আর যদিও বা পড়ি তাহলে দেশি জার্নালের পেপার। বাইরের পড়াশুনা প্রায় সম্পূর্ণটাই পেপারের উপর নির্ভরশীল। তাই বেশী বেশী করে ভাল জার্নালগুলোর পেপার পড়ার অভ্যাস করে তুলে হবে।
২. রান্নাবান্না: বিদেশে এসে অনেকেরই বড় সমস্যা হয় নিজে রান্নাবান্না করে খাবার বিষয়টি। সুতরাং দেশে থাকতেই এই বিষয়টি অভ্যাস করে বিদেশে এলে খাবার-দাবাড়ের সমস্যাটি অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
৩. ড্রাইভিং: দেশে থাকতেই ড্রাইভিং ভাল মত শেখা উচিত এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে রাখা উচিত। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে বিদেশে আপনার জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যায়। যেমন, আমার গবেষণার জন্য গ্রীষ্মের সময় প্রতিদিনই আমাকে ড্রাইভ করে ফিল্ডে যেতে হত এবং আমার ফিল্ড সাইটগুলো বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১-২ ঘণ্টার ড্রাইভিং দূরত্বে। এছাড়া অবসরে কোথায় ইচ্ছেমত ঘুরতে যাবার বিষয়টি তো আছেই। তাছাড়া উন্নত বিশ্বে ড্রাইভিং ইনস্যুরেন্স খরচ অনেক বেশী এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স যত পুরনো হয় এই খরচ তত কমে আসে। সম্ভব হলে ম্যানুয়াল গাড়িতে ড্রাইভিং শিখুন।
৪. পরিসংখ্যান বা ডাটা এনালাইসিস: নিজে পরিসংখ্যান শিখুন এবং সে সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করুন। গবেষণা পদ্ধতি (Research Methodology) ভাল মত জানুন। সেই সাথে আপনার ফিল্ডের প্রচলিত সকল পরিসংখ্যানিক টেস্টসমূহ সম্পর্কে ভাল ধারণা তৈরি করুন। কোন টেস্ট কোন ডাটার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এবং কোন সফটওয়্যারে সেটি কিভাবে করতে হয় সেটি জানুন। শুধু জানলে হবে না, দক্ষ হতে হবে এ বিষয়ে। আপনি যে পেপারগুলো পড়বেন সেখানের গবেষণা পদ্ধতি ভালমতো পড়ুন এবং বুঝুন।
৫. লেখালেখির ও পাওয়ারপয়েন্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা: আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের অনেকের ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কম্পিউটার থাকলেও বেশীরভাগ সময়ে তারা সেগুলো বিনোদনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে। সেটি সমস্যা নয় যদি তার সাথে এমএস ওয়ার্ড বা লেটেক্স এবং এমএস পাওয়ারপয়েন্ট শিখে রাখুন। কি কাজে দিবে সেটি আপনি উচ্চশিক্ষায় আসলেই বুঝতে পারবেন। তবে শুধু দেশের বাইরেই নয়, দেশের চাকুরীতে এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
৬. জোরে হাঁটুন! জী হা, জোরে হাটার অভ্যাস করুন। আমার দেখা একমাত্র বাঙালিরাই উন্নত বিশ্বের মানুষজনের তুলনায় প্রায় ৩-গুণ ধীরে হাটে এবং এসব দেশে ভিড়ের মধ্যে এদের দেখলেই বোঝা যায় যে এরা আমাদের দেশের। অন্তত সুপারভাইজারের সাথে তাল মিলিয়ে হাটতে তো হবে! এছাড়া দ্রুত হাটা স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভাল!
৭. যেখানে সেখানে নোংরা ফেলা: বাঙালির এই বদভ্যাস পরিত্যাগ করুন। সভ্য মানুষেরা কখনও পরিবেশ নোংরা করে না, বরং কোথাও প্লাস্টিক বা অন্য কিছু পেলে তুলে নিয়ে সেটি নির্ধারিত স্থানে ফেলে।
মদ্দা কথা একজন ব্যক্তিকে উন্নত বিশ্বের উচ্চশিক্ষা উপভোগ করতে হলে তাকে যথাসম্ভব স্বনির্ভর হতে হবে। নিজের কাজ নিজে করতে হবে, একটু গোছানো জীবনযাপন করতে হবে, মিনমিন করে কথা বলার অভ্যাস ঝেড়ে ফেলতে হবে এবং ফাঁকিবাজির অভ্যাসটি পরিত্যাগ করতে হবে!
No comments:
Post a Comment