শ্রদ্ধেয় ইয়ামিন স্যারের সাথে বিভাগের বারান্দায় দেখা, আমি সবেমাত্র একটি ক্লাস শেষ করে চেম্বারের দিকে ধাবিত হচ্ছিলাম; দেখা হতেই স্যারের প্রশ্ন “কমনওয়েলথ স্কলারশীপের সার্কুলার হয়েছে... আবেদন করেছো?” আমার যথারীতি উত্তর “স্যার... কমনওয়েলথ?... ওটা তো হবে না... আবেদন করে কি লাভ?” স্যার সাহস দিলেন “আবেদন করো... তোমার হয়ে যাবে”। সেদিন বৃহস্পতিবার এবং ওয়ার্কিং আওয়ারও প্রায় শেষের দিকে অথচ আবেদনের শেষ তারিখ শনিবার! মধ্যখানে শুধু শুক্রবার কিন্তু আমি কিছুই জানি না আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে!
এতদিন ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কোথাও স্কলারশীপের আবেদনই করতে পারি নি! কারন এডহক-এ ছিলাম, শিক্ষাছুটি পেতাম না। কিছুদিন আগেই চাকুরী স্থায়ী হয়েছে এখন আবেদন করতে কোন বাধা নেই। তাই বলে কমনওয়েলথ!!! ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যাণ্ড এ প্রফেসর ম্যানেজ করে ফেলেছি, এবছর আবেদন করবো। অবশেষে ঠিক করলাম অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যাণ্ডের সাথে যুক্তরাজ্য যোগ হলে সমস্যা কি? একটি অপশন বাড়বে! সুতরাং চেষ্টা করতে তো দোষ নেই...
যাহোক শনিবার সকাল সকাল (বেলা ১১ টা নাগাদ!) গেলাম প্রশাসন ভবন ২ এর একাডেমিক সেকশনে। জানতে চাইলাম কোথায় গেলে কমনওয়েলথ স্কলারশীপে আবেদন সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে। অতঃপর একজন মহিলা অফিসারের সম্মুখে পতিত হলাম এবং তাকে জানালাম আমি একজন আগ্রহী প্রার্থী, কিভাবে আবেদন করতে হবে? তিনি আমার সময়জ্ঞান দেখে রীতিমত হতাশ হলেন এবং অবিশ্বাস ও সন্দেহের চোখে প্রথমেই যে কথাটি বললেন সেটি হলো “আজকেই তো আবেদনের শেষ তারিখ... আপনি কিভাবে আবেদন করবেন এই কয়েক ঘন্টা সময়ের মধ্যে?” উল্লেখ্য যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস দুপুর ২টা পর্যন্ত, তবে দেড়টার পর কোন কাজ হবে এই আশা না করাই ভাল। তার কাছে থেকেই জানতে পারলাম আবেদন ফর্মে নিজের একাডেমিক যোগ্যতা, প্রকাশনা ও ইংরেজীর টেস্টের পারদর্শীতার তথ্যসহ বিভাগীয় সভাপতি ও ডীনের সুপারিশসহ আবেদন জমা দিতে হবে!
আমি জাস্ট রিকশায় (!!! যদিও পদব্রজে চলাচল করা আমার স্বভাব) উড়ে চলে গেলাম বিভাগে; কিন্তু সভাপতি সেদিন ছুটিতে! তার অনুপস্থিতিতে দায়িত্বে আছেন আমার আরেক শিক্ষক। হরতাল থাকার কারণে সেদিন তেমন কেও বিভাগেও আসেনি। ডীন অফিসে ডীন মহোদয়ের খোঁজ নিলাম... তিনিও আজ আসেননি এবং আসবেনও না! কি আর করা... বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ডীন, দুজনকেই বাধ্য হয়েই ফোন দিলাম। জানলাম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পথে আছেন আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বিভাগে পৌঁছে যাবেন, ডীন ম্যাডাম জানালেন পিওনকে দিয়ে তার বাড়িতে আবেদনটি পাঠাতে তিনি সই করে দিবেন। সকলের অতি আন্তরিক সহযোগীতার আমি সিনেমার মতোই একেবারে শেষ মুহূর্তে আমার আবেদনপত্রটি রেজিস্ট্রার অফিসে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলাম।
কয়েকদিন পর... আমি ব্যাপারটি পুরোই গিলে ফেলেছিলাম। হঠাৎ মুঠোফোনে ডীন ম্যাডামের ফোন! কলটি রিসিভ করতেই তিনি অভিনন্দন জানালেন এবং বললেন যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি প্রথম হয়েছি! আমি রীতিমত আকাশ থেকে পড়লাম... তাই বলে প্রথম! জানা গেল আজ মাননীয় ভিসি স্যারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশীপ কমিটির মিটিং ছিলো এবং জমাকৃত আবেদনসমূহ বিচার-বিশ্লেষণের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনকারীদের মধ্যে দু’জনকে নির্বাচন করা হয়েছে।
এরপর ইউজিসি! যেখানে আমার মতো বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় হতে মনোনয়ন পাওয়া সকলে পরবর্তী ধাপের জন্য ফাইট (!) করবে! নিজেই নিজেকে সান্তনা দিলাম, ইউজিসিতে না হলে মন খারাপ করবো না! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে মনোনয়ন পেয়েছি এই কত! শুধু যোগ্যতা থাকলেই হবে না... ভাগ্যও থাকতে হবে...
এতদিন ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কোথাও স্কলারশীপের আবেদনই করতে পারি নি! কারন এডহক-এ ছিলাম, শিক্ষাছুটি পেতাম না। কিছুদিন আগেই চাকুরী স্থায়ী হয়েছে এখন আবেদন করতে কোন বাধা নেই। তাই বলে কমনওয়েলথ!!! ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যাণ্ড এ প্রফেসর ম্যানেজ করে ফেলেছি, এবছর আবেদন করবো। অবশেষে ঠিক করলাম অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যাণ্ডের সাথে যুক্তরাজ্য যোগ হলে সমস্যা কি? একটি অপশন বাড়বে! সুতরাং চেষ্টা করতে তো দোষ নেই...
যাহোক শনিবার সকাল সকাল (বেলা ১১ টা নাগাদ!) গেলাম প্রশাসন ভবন ২ এর একাডেমিক সেকশনে। জানতে চাইলাম কোথায় গেলে কমনওয়েলথ স্কলারশীপে আবেদন সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে। অতঃপর একজন মহিলা অফিসারের সম্মুখে পতিত হলাম এবং তাকে জানালাম আমি একজন আগ্রহী প্রার্থী, কিভাবে আবেদন করতে হবে? তিনি আমার সময়জ্ঞান দেখে রীতিমত হতাশ হলেন এবং অবিশ্বাস ও সন্দেহের চোখে প্রথমেই যে কথাটি বললেন সেটি হলো “আজকেই তো আবেদনের শেষ তারিখ... আপনি কিভাবে আবেদন করবেন এই কয়েক ঘন্টা সময়ের মধ্যে?” উল্লেখ্য যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস দুপুর ২টা পর্যন্ত, তবে দেড়টার পর কোন কাজ হবে এই আশা না করাই ভাল। তার কাছে থেকেই জানতে পারলাম আবেদন ফর্মে নিজের একাডেমিক যোগ্যতা, প্রকাশনা ও ইংরেজীর টেস্টের পারদর্শীতার তথ্যসহ বিভাগীয় সভাপতি ও ডীনের সুপারিশসহ আবেদন জমা দিতে হবে!
আমি জাস্ট রিকশায় (!!! যদিও পদব্রজে চলাচল করা আমার স্বভাব) উড়ে চলে গেলাম বিভাগে; কিন্তু সভাপতি সেদিন ছুটিতে! তার অনুপস্থিতিতে দায়িত্বে আছেন আমার আরেক শিক্ষক। হরতাল থাকার কারণে সেদিন তেমন কেও বিভাগেও আসেনি। ডীন অফিসে ডীন মহোদয়ের খোঁজ নিলাম... তিনিও আজ আসেননি এবং আসবেনও না! কি আর করা... বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ডীন, দুজনকেই বাধ্য হয়েই ফোন দিলাম। জানলাম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পথে আছেন আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বিভাগে পৌঁছে যাবেন, ডীন ম্যাডাম জানালেন পিওনকে দিয়ে তার বাড়িতে আবেদনটি পাঠাতে তিনি সই করে দিবেন। সকলের অতি আন্তরিক সহযোগীতার আমি সিনেমার মতোই একেবারে শেষ মুহূর্তে আমার আবেদনপত্রটি রেজিস্ট্রার অফিসে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলাম।
কয়েকদিন পর... আমি ব্যাপারটি পুরোই গিলে ফেলেছিলাম। হঠাৎ মুঠোফোনে ডীন ম্যাডামের ফোন! কলটি রিসিভ করতেই তিনি অভিনন্দন জানালেন এবং বললেন যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি প্রথম হয়েছি! আমি রীতিমত আকাশ থেকে পড়লাম... তাই বলে প্রথম! জানা গেল আজ মাননীয় ভিসি স্যারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশীপ কমিটির মিটিং ছিলো এবং জমাকৃত আবেদনসমূহ বিচার-বিশ্লেষণের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনকারীদের মধ্যে দু’জনকে নির্বাচন করা হয়েছে।
এরপর ইউজিসি! যেখানে আমার মতো বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় হতে মনোনয়ন পাওয়া সকলে পরবর্তী ধাপের জন্য ফাইট (!) করবে! নিজেই নিজেকে সান্তনা দিলাম, ইউজিসিতে না হলে মন খারাপ করবো না! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে মনোনয়ন পেয়েছি এই কত! শুধু যোগ্যতা থাকলেই হবে না... ভাগ্যও থাকতে হবে...
No comments:
Post a Comment